অনলাইন ডেস্ক | শুক্রবার, ১২ জুলাই ২০২৪ | প্রিন্ট | 11 বার পঠিত
বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইজার বলেছেন, ‘ক্রমবর্ধমান ভূ-রাজনৈতিক ঝুঁকি এবং বৈশ্বিক বাণিজ্যের খণ্ডিতকরণের কারণে সামনের দিনগুলোতে দক্ষিণ এশীয়দের জন্য উপযুক্ত জীবিকা নির্বাহে কাজ পাওয়া আরও কঠিন হবে। দুই দশক ধরে দক্ষিণ এশিয়ায় শ্রমশক্তিতে প্রবেশকারীদের সংখ্যা কমছে। শ্রমশক্তিতে নতুন প্রবেশকারীদের তুলনায় ৩০ কোটি কম চাকরি রয়েছে।’
আজ শুক্রবার প্রকাশিত ‘রিথিংকিং সোশ্যাল প্রটেকশন ইন সাউথ এশিয়া : টুওয়ার্ডস প্রগ্রেসিভ ইউনিভার্সালিজম’ শীর্ষক প্রবন্ধে এসব তথ্য তুলে ধরেন রাইজার। তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নেতিবাচক নানা ঝুঁকির অভূতপূর্ব সংমিশ্রণ আচ্ছন্ন করেছে দক্ষিণ এশিয়া। শ্রীলঙ্কায় করোনার প্রভাবে অর্থনৈতিক সংকটে প্রায় ৩০ লাখ মানুষকে দারিদ্র্যের দিকে ঠেলে দিয়েছে। পাকিস্তানে ২০২২ সালের বন্যা-জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য প্রায় ৯ দশমিক ১ মিলিয়ন মানুষকে দারিদ্রের দিকে ঢেলে দিয়েছে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি ও খাদ্য সংকট আরও প্রসারিত হয়েছে। যুদ্ধের প্রভাবে সরাসরি বিপাকে পড়েছেন দক্ষিণ এশিয়ার কর্মজীবী মানুষ।’
মার্টিন রাইজার মতে, বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জে দক্ষিণ এশিয়ার দ্রুত ক্রমবর্ধমান কর্মক্ষম জনসংখ্যার জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টির সুযোগ কমে যাচ্ছে। এমন সময়ে নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন হয়েছে, যা বিশ্বকে এমনভাবে আগে প্রভাবিত করেনি। ফলে কর্মক্ষম মানুষ আরও বিপাকে পড়েছে। তবুও, দক্ষিণ এশিয়া বিশাল কাজের সুযোগের একটি অঞ্চল। এখানের তরুণ জনসংখ্যা নতুন সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে। প্রযুক্তির গতিশীলতার সঙ্গে তরুণেরা নিজেদের তৈরি করছে। এ অঞ্চলটি ডিজিটাল পরিষেবা রপ্তানিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার দক্ষতা দেখিয়েছে।
Posted ১২:৫০ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ১২ জুলাই ২০২৪
londonpratidin.com | Zamshed Alam