অনলাইন ডেস্ক | বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০২৪ | প্রিন্ট | 10 বার পঠিত
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ওপর চাপ ক্রমাগত বেড়েই চলছে। তিনি যে শারীরিক ও মানসিকভাবে দায়িত্বপালনের জন্য ফিট আছেন- এটি প্রমাণ করতে তার ওপর চাপ বাড়ছে। ইতোমধ্যে তার ডেমোক্র্যাটিক দল থেকেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে সরে আসার দাবি জোরালো হচ্ছে। তবে এমন পরিস্থিতিতেও নিজের সিদ্ধান্তে অটল মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
বুধবার বাইডেন সিনিয়র ডেমোক্র্যাট নেতা ও কর্মকর্তাদের আশ্বস্ত করার কাজ শুরু করেছেন। আগামী নভেম্বরের নির্বাচনে তার জায়গায় ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস আসতে পারেন- এমন গুঞ্জনের মধ্যে তিনি হোয়াইট হাউসে কমলা হ্যারিসের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার মধ্যাহ্ন ভোজে অংশ নিয়েছেন।
এরপর দুইজনে ফোনে দলের এক প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন। সেখানে বাইডেন পরিষ্কার করেছেন যে, তিনি লড়াইয়ে আছেন এবং হ্যারিসও তার সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, আমি ডেমোক্র্যাট পার্টির নমিনি। কেউ আমাকে বের করে দিতে পারে না। আমি চলে যাচ্ছি না।
গত সপ্তাহে ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্ক ধরাশয়ী হওয়ার পর প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছিলো যে ৮১ বছর বয়সী বাইডেন প্রচারণা অব্যাহত রাখবেন কিনা। বিতর্কে বারবার খেই হারানো, দুর্বল কণ্ঠস্বর এবং তার কিছু উত্তর বোঝাই কষ্টকর ছিল। এটি দলের মধ্যে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য তার ফিটনেস এবং নির্বাচনে জেতার সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি করে।
এরপর জনমত জরিপগুলোতে যখন দেখা যায়, তার রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে পার্থক্য বাড়ছে তখন লড়াই থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য তার ওপর চাপ বাড়তে থাকে। বিতর্কের পর নিউইয়র্ক টাইমসের এক জনমত জরিপে দেখা যায়, ট্রাম্প এখন বাইডেনের চেয়ে ছয় পয়েন্টের ব্যবধানে এগিয়ে আছেন, যা এ যাবতকালের সবচেয়ে বড় ব্যবধান। বুধবার এ জনমত জরিপের ফল প্রকাশ করা হয়।
বিবিসির যুক্তরাষ্ট্রের পার্টনার সিবিএস এর আরেকটি জরিপে দেখা যায়, প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক রাজ্যগুলোতে বাইডেনের চেয়ে ট্রাম্প তিন পয়েন্টে এগিয়ে আছেন। ওই জরিপ অনুযায়ী সাবেক প্রেসিডেন্ট জাতীয়ভাবেও এগিয়ে আছেন।
ডেমোক্র্যাট পার্টির কিছু ডোনার এবং আইনপ্রণেতা প্রকাশ্যে প্রেসিডেন্টকে সরে দাঁড়ানোর যে আহবান জানিয়েছেন সেটি নির্বাচনের জন্য ক্ষতিকর হয়ে উঠেছে। ম্যাসাচুসেটস ভিত্তিক ভারতীয়-আমেরিকান শিল্পপতি রামেশ কাপুর ডেমোক্র্যাট পার্টির জন্য তহবিল সংগ্রহের কাজ করছেন ১৯৮৮ সাল থেকে।
তিনি বলেছেন, আমি মনে করি মশালটা অন্যের হাতে দেওয়ার জন্য তার জন্য এটাই সঠিক সময়। আমি জানি তার স্পৃহা আছে কিন্তু আপনি প্রকৃতির সঙ্গে লড়তে পারেন না।
কংগ্রেসের দুই ডেমোক্র্যাটও দলের মনোনয়নের পরিবর্তনের আহবান জানিয়েছেন। সবশেষ আরিজোনার রাউল গ্রিজালভা নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেছেন, ডেমোক্র্যাটদের অন্যদিকে তাকানোর সময় এটা।
এমন পরিস্থিতিতেও হোয়াইট হাউস ও বাইডেনের প্রচারণা দল এসব খবরাখবর প্রত্যাখ্যান করেছেন। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বাইডেন আগামী ৫ নভেম্বর দ্বিতীয়বারের মতো ট্রাম্পকে হারাতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। সূত্র: বিবিসি
Posted ১১:৪৭ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০২৪
londonpratidin.com | Zamshed Alam